অক্ষর ও বর্ণ এর মধ্যে পার্থক্য কি
প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম আজকের এই টিউটোরিয়ালে অক্ষর ও বর্ণ এর মধ্যে পার্থক্য কি এই সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন অক্ষর ও বর্ণ এর মধ্যে পার্থক্য কি তাহলে এই টিউটোরিয়াল টি আপনার জন্য। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন অক্ষর ও বর্ণ এর মধ্যে পার্থক্য কি চলুন জেনে নেয়া যাক অক্ষর ও বর্ণ এর মধ্যে পার্থক্য কি।
অক্ষর ও বর্ণ এর মধ্যে পার্থক্য কি
ভাষার ধ্বনিকে লিখিতরূপ দানের জন্য যে প্রতীক ব্যবহার করা হয় তাকে বর্ণ বা হরফ বলে । অন্যদিকে অল্প প্রয়াসে যে ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ একবারে উচ্চারিত হয় তাকে অক্ষর বলে। অক্ষর হচ্ছে ইংরেজিতে যাকে বলে সিল্যাবল । সহজ কথায় শব্দ উচ্চারণের সময় আমরা যতটুকু অংশ একবারে উচ্চারণ করি সেটা হচ্ছে অক্ষর। অক্ষরের সম্পর্ক ধ্বনির সাথে , বর্ণের সাথে না ।
অক্ষর আর বর্ণ নিয়ে নিয়ে বিভ্রাট ঘটে। কখনো কখনো বর্ণকে অক্ষর বলে। কিন্তু অক্ষর উচ্চারণভিত্তিক, বর্ণ লিপিভিত্তিক। বর্ণ হচ্ছে ধ্বনির লিখিত রুপ। অন্যদিকে অক্ষর হলো উচ্চারণভিত্তিক রুপ। বর্ণ থাকে লিখিত আকার। অন্যদিকে অক্ষর থাকে শব্দকারে।
অক্ষর
অক্ষর বলতে লিখনের একটি মৌল উপাদানকে বোঝায় । দুই বা ততোধিক অক্ষর একই প্রতীককে নির্দেশ করলে তাদেরকে সহ অক্ষর বলে সহ অক্ষরগুলি একে অপরের প্রতিস্থাপনীয় হতে পারে , কিংবা প্রতিবেশভদে আলাদাভাবে ব্যবহৃত হতে পারে। একাধিক সহ অক্ষর যে বিমূর্ত এককের রূপভেদ , তাকে অক্ষরমূল বলা হয়। কম্পিউটিং এর পরিভাষায় অক্ষরমূলকে ক্যারেক্টার নামেও ডাকা হয়।কোন অক্ষর একাধিক ক্যারেক্টার তথা অক্ষরের সংযুক্ত রূপ হতে পারে । তখন একে যুক্তাক্ষর বলে । অক্ষরগুলি মুদ্রণে বা লেখায় ব্যবহৃত নির্দেশক চিহ্ন ও হতে পারে।মুদ্রণশৈলীতে অক্ষর বা গ্লিফ বলতে এক বা একাধিক ক্যারেক্টার বা অক্ষরমূলের একটি নির্দিষ্ট দৃশ্যমান রূপকে বোঝায় । এগুলিকে মুদ্রাক্ষর নামে ডাকা হয় এবং একই ধরনের বা শৈলীর আকৃতিবিশিষ্ট অনেকগুলি মুদ্রাক্ষরের একটি সেটকে মুদ্রাক্ষর-ছাঁদ বলে।অনেকসময় একাধিক ক্যারেক্টার বা অক্ষরমূলকে একটি মাত্র দৃশ্যমান অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা যেতে পারে , যাকে যুক্তাক্ষর বলে। উদাহরণস্বরূপ ,এফ এফ আই তিনটি ক্যারেক্টারের সমষ্টি, কিন্তু এদেরকে একটিমাত্র অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা যায়। তিনটি ক্যারেক্টার এখানে একত্রিত হয়ে একটি যুক্তাক্ষর গঠন করেছে । বিপরীতভাবে কিছু মুদ্রাক্ষরযন্ত্র বা টাইপরাইটারে অনেকগুলি অক্ষরের সাহায্যে একটিমাত্র ক্যারেক্টারকে নির্দেশ করা হয়। যেমন অনেকসময় দুইটি হাইফেন অক্ষর পাশাপাশি বসিয়ে এম ড্যাশ ক্যারেক্টারটি নির্দেশ করা হয়।
বর্ণ
ধ্বনি নির্দেশক লিখিত চিহ্নকে বর্ণ বলে । ধ্বনি মানুষের মুখনিঃসৃত বায়ু থেকে সৃষ্ট , তাই এর কোনো আকার নেই । এগুলো মানুষ মুখে উচ্চারণ করে এবং কানে শোনে । ভাষা লিখে প্রকাশ করার সুবিধার্থে ধ্বনিগুলোর প্রতিনিধি হিসেবে কিছু প্রতীক তৈরি করা হয়েছে । এই প্রতীকের নাম বর্ণ । এই বর্ণসমূহের সমষ্টিই হলো বর্ণমালা। বাংলা ধ্বনির মতো বর্ণও তাই দুই প্রকার স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ ।
স্বরবর্ণ স্বরধ্বনির লিখিত চিহ্ন বা প্রতীককে বলা হয় স্বরবর্ণ। বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি সাতটি। কিন্তু স্বরবর্ণ এগারো টি। যথা: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।ব্যঞ্জনবর্ণ ব্যঞ্জনধ্বনির লিখিত চিহ্ন বা প্রতীককে ব্যঞ্জনবর্ণ বলা হয় । বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনবর্ণ উনচল্লিশ টি। যথা ক, খ, গ ,ঘ ,ঙ ,চ , ছ ,জ, ঝ, ঞ , ট ,ঠ , ড, ঢ , ণ , ত ,থ , দ , ধ, ন, প , ফ ইত্যাদি।